আল্লাহ তা‘আলা নারী ও পুরুষের মাঝে
সুরক্ষার দেয়াল রচনার জন্য পর্দার বিধান
প্রদান করেছেন। তিনি পরপুরুষ থেকে নারীদের
পর্দা করা ফরজ করেছেন।
পর্দার বিধান নারী ও পুরুষ উভয়ের কল্যাণের
জন্যই প্রদান করা হয়েছে। যদি পর্দার বিধান
না থাকতো, তাহলে নারী ও পুরুষের অবাধ
মেলা-মেশার কারণে সমাজে অসংখ্য অঘটন
ঘটত। যেমনটি বর্তমানে যে দেশ বা সমাজে
পর্দা নেই সে সমাজের অবস্থার দিকে
তাকালে আমরা দেখতে পাই। সেখানে
প্রতিনিয়তই জঘন্য ঘটনা ঘটে এবং নারীরা
জুলুম-নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
তাই নারী ও পুরুষের অবাধ মেলা-মেশার
ব্যাপারে সতর্ক করে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ
করেন–“আমি আমার পর এমন কোন ফিতনা
রেখে যাইনি যা পুরুষের জন্য অধিক ক্ষতিকর
নারীর ফেতনার চেয়ে।”
সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫০৯৬/
সহীহ মুসলিম,হাদীস নং ২৭৪০
সুতরাং সমাজে পর্দার বিধান প্রতিষ্ঠা করে
এ ফিতনাকে নির্মূল করতে হবে। নারীদের জন্য
মাহরাম অর্থাৎ যাদের সাথে চিরতরে বিবাহ
অবৈধ তারা ব্যতীত বেগানা অর্থাৎ যাদের
সাথে বিবাহ হারাম নয়–এমন লোকদের সাথে
পূর্ণরূপে পর্দা করতে হয়।
পর্দা সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সুরাহ
আহযাবের ৫৯ আয়াতে ইরশাদ করেছেন : “হে
নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও
ঈমানদার মহিলাগণকে বলে দিন, তারা যেন
উপর দিক থেকে (নিজেদের মুখমন্ডল ও
বক্ষদেশের উপর) নিজেদের চাদরের আচঁল
ঝুলিয়ে দেয়, এতে তাদের চেনা সহজতর হবে।
ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবেনা। আল্লাহ
ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।”
সুরাহ আযহাব, ৫৯ নং আয়াত ৷
মহান আল্লাহ আরো ইরশাদ করেন–
“মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের
দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর
হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা
আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা
অবহিত আছেন। আর ঈমানদার নারীদেরকে
বলুন,তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং
তাদের যৌন অঙ্গের হেফাজত করে। তারা
যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান (যেমন,
পরিধেয় হিজাবের বহিরাংশ) তা ছাড়া
তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা
যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে রাখে
এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর,
পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র,
ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী,
যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক–যারা
নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের
ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ
না করে (পর্দা করে)। আর তারা যেন তাদের
গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে
পদচারণা না করে।”
সূরাহ নূর,৩০-৩১ নং আয়াত ৷